বারিক্কা টিলার অবস্থান সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে। এ টিলা বারেক টিলা (Barek Tila Sunamganj) নামেও পরিচিত। এ টিলার উপর থেকে ভারতের খাশিয়া পাহাড় দেখা যায়। এখানে একটি গ্রাম আছে যার নাম আনন্দ নগর। এ গ্রামে প্রায় ৪০-৫০ টি পরিবার রয়েছে। বারিক্কা টিলার পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে খাসিয়া পাহাড় থেকে উৎপন্ন মায়ার নদী যাদুকাটা। বর্ষায় ভারতের পাহাড় হতে এ নদী দিয়ে নেমে আসে পাথর, বালু, কয়লা, সে গুলো সংগ্রহের জন্য সেখানে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ আপনার চোখে পড়বে। এই টিলার পাশেই দুটি মিষ্টি পানির ছড়া রয়েছে। বর্ষার সময় ছাড়া ছড়া গুলোতে খুব একটা পানি থাকেনা। বারিক্কা টিলা থেকে সুর্য্য উদয়ের খুব সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। বারিক্কা টিলা, খাশিয়া পাহাড়, যাদুকাটা নদীর স্বচ্ছ জল আর উপরের নীল আকাশ মিলে এক ধরনের মাতাল করা ক্যানভাসের সৃষ্টি করেছে। যা আপনার দীর্ঘ দিনের ক্লান্তি একনিমেশেই ঝেড়ে ফেলতে পারে। বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত ঘেষা যাদুকাটা নদীর তীরে অবস্থিত একটি গ্রাম হল লাউর গড় ( Laurer Garh ) যা প্রাচীন লাউর রাজ্যের স্মৃতির সাক্ষ্যী। লাউর গ্রামের খুব নিকটেই রয়েছে হযরত শাহ্ আরিফিনের মাজার। প্রতি বছর এই মাজারকে কেন্দ্র করে ঐতিহ্যবাহী মেলা বসে, যা প্রায় ১০০ বছরের বেশী সময় ধরে হয়ে আসছে।
Barek Tila Sunamganj
কিভাবে আসবেন
বারিক্কা টিলা আসতে আসতে হলে দেসের যেকোন প্রান্ত থেকে প্রথমে চলে আসুন সুনামগঞ্জ শহরে। রাজধানী ঢাকার মহাখালী এবং সায়দাবাদ থেকে প্রতিদিন বেশ কিছু গাড়ি সুনামগঞ্জের উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে আসে। সায়দাবাদ থেকে শ্যামলী আর মামুন পরিবহন আর মহাখালি থেকে এনা পরিবহণের বেশ কিছু এসি এবং নন এসি বাস সুনামগঞ্জ রুটে নিয়মিত চলাচল করে। নন এসি তে ভ্রমণ করলে আপনাকে ৮২০-৯০০ টাকা ভাড়া গুনতে হবে। আর এসিতে ভ্রমন করলে ১২৫০-১৪০০ টাকা গুনতে হবে। শুকনার সময়ে সুনামগঞ্জ থেকে সি এন জি এবং মোটর সাইকেলে করে সরাসরি বারিক্কা টিলায় আসতে পারবেন। তবে বর্ষায় বোটে করে বারিক্কা টিলায় আসতে পারবেন। বর্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমনে যারা আসেন তারা সবাই বারিক্কা টিলায় ঘুরে যান। আমাদের প্রিমিয়াম হাউজ বোট ‘বাতান’ – এর প্রতিটি ট্রিপেই থাকছে বারিক্কা টিলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার সুযোগ।
কোথায় থাকবেন
বারিক্কা টিলায় থাকার মত তেমন কোন জায়গা নেই। তবে থাকতে চাইলে বারিক্কা টিলার কাছেই আছে বড়ছড়া বাজার সেখানে বেশ কয়েকটি রেষ্ট হাউজ আছে। বড়ছড়া বাজারের রেষ্ট হাউজ গুলোতে থাকতে চাইলে আপনাকে ২০০-৫০০ টাকা খরচ করতে হবে। নিলাদ্রী লেকের কাছে চুনা পাথরের কারখানার একটা পুরাতন গেষ্ট হাউজ আছে সেখানে রাত কাটাতে পারবেন। ভালো মানের হোটেলে রাত কাটাতে চাইলে তাহিরপুর অথবা সুনামগঞ্জ শহরে যেতে হবে। সুনামগঞ্জ শহরে ৫০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে বেশ ভালো কিছু আবাসিক হোটেল পেয়ে যাবেন।
বর্তমানে টাঙ্গুয়ার হাওর ও তার আশেপাশের এলকা্য পর্যটন প্রসারিত হওয়ায়, সুনামগঞ্জ থেকে প্রতিদিন কোন না কোন বিলাস বহুল হাউজবোট ছেড়ে আসছে বারিক্কা টিলাসহ বিভিন্ন স্পটে। আপনি চাইলে সুনামগঞ্জ থেকে যে কোন হাউজবোটে করে বারিক্কা টিলা সহ টাঙ্গুয়ার হাওরের বিভিন্ন স্পটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন। সয়য়ের সেরা হাউজবোট বাতান – এ করেও টাঙ্গুয়ার হাওরের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। আমাদের বাতান হাউজবোটে আছে অ্যাটাচ বাথরুম সহ ০৬টি লকডোর কেবিন। প্রতিটি কেবিনে ২/৩ করে থাকার সু ব্যবস্থা। সার্বক্ষনিক জেনারেটরের ব্যাবস্থা। নিরাপত্ত্বার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা। তাই টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমনে আপনার প্রথম পছন্দ সময়ের সেরা হাউজবোট বাতান।
Barek Tila Sunamganj
কোথায় খাবেন
বারিক্কা টিলার নিচেই বেশ কয়েকটি রেষ্টুরেন্ট রয়েছে। আপনারা চাইলে সেখানেও খেতে পারেন। হাউজবোট গুলোতে বাহারি খাবারের আয়োজন থাকে। আমাদের বাতান হাউজবোটেও খাবারের থাকে অন্য রকম আয়োজন। এছাড়া বড়ছড়া বাজার, তাহিপুর বাজার এবং সুনামগঞ্জে এসে খাবার খেতে পারবেন।